রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়।
শুধুমাত্র ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
সফল আবেদনকারীরা আগামী ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আগামী ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্লা রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ না থাকায় আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা কমানো হয়েছে। তবে ৭টি ইউনিটে আবেদন ফি বাড়ানো হয়েছে। নয়টি ইউনিটে ভাগ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৫৬টি বিভাগ ও দু’টি ইনিস্টিটিউটে চার হাজার ৭৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
আবেদনের যোগ্যতা: বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় শাখায় (চতুর্থ বিষয়সহ) নূন্যতম জিপিএ-৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮ পেতে হবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় শাখায় (চতুর্থ বিষয়সহ) নূন্যতম জিপিএ-৩ সহ মোট জিপিএ-৭ পেতে হবে। বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় শাখায় (চতুর্থ বিষয়সহ) নূন্যতম জিপিএ-৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।
আবেদন ফি: এ ইউনিটে আবেদন ফি ৭৭০ টাকা, বি ইউনিটে ফি ৩৩০ টাকা, সি ইউনিটে ৭১৫ টাকা, ডি ইউনিটে ৫৫০ টাকা, ই ইউনিটে ৮২৫ টাকা, এফ ইউনিটে ৬০৫ টাকা, জি ইউনিটে ৪৪০ টাকা, এইচ ইউনিটে ৫৫০ টাকা ও আই ইউনিটে ৩৯০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ার নিয়ম: ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd হোম পেজে গিয়ে নিচের দিকে থাকা Online Application ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী পেজে গিয়ে নিচের দিকে ইংরেজি লেখা ‘স্টার্ট অ্যাপ্লিকেশন’ ক্লিক করলে আবেদনকারীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল, শিক্ষা বোর্ড ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর চাওয়া হবে। সঠিকভাবে তিনটি অপশন পূরণ করে সাবমিট করলে আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় সব ব্যক্তিগত তথ্য এবং এসএসসি ও এইচএসসি’র রেজাল্ট দেখা যাবে।
একইসঙ্গে ওই দুই পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়টি ইউনিটে ভর্তি আবেদনে ওই ভর্তিচ্ছু যোগ্য তাও দেখানো হবে। পছন্দের ইউনিটের পাশে থাকা ‘এপ্লাই’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। সেখানে সদ্য তোলা সর্বোচ্চ ৩০০×৪০০ পিক্সেল সাইজ এবং একশ’ কিলোবাইটের জেপিজি ফরম্যাটের রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে।
একই ধাপে ‘কোটা’ (যদি থাকে) সুবিধা নিতে আগ্রহীদের তা নির্ধারণ করতে হবে এবং ব্যক্তিগত বা অভিভাবকের মোবাইল নম্বর দিতে হবে। পরবর্তী ধাপে আবেদনকারীকে পূরণ করা পুরো আবেদন ফরম দেখানো হবে। সেখানে সংশোধন প্রক্রিয়া শেষে ‘সাবমিট অ্যাপ্লিকেশন’ বাটনে ক্লিক করলে আবেদন সম্পন্ন হবে এবং একটি স্লিপ দেখতে পাবে। স্লিপে ‘অ্যাপ্লিকেশন আইডি’, ‘বিল নম্বর’ ও ফি এর পরিমাণ থাকবে।
স্লিপটি প্রিন্ট করে আবেদনকারীকে সংরক্ষণ করতে হবে। স্লিপে থাকা ‘বিল নম্বর’ ব্যবহার করে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবেদনের তথ্য ওয়েবসাইটে আপডেট করা হবে। তবে ভর্তিচ্ছু শুধুমাত্র প্রবেশপত্র হাতে পাওয়ার পর রোল নম্বর জানতে পারবেন। আবেদন সম্পন্নের পর ছবি পরিবর্তন করতে চাইলে ২০০ টাকা ফি প্রদান ও যথোপযুক্ত প্রমাণের মাধ্যমে ছবি পরিবর্তন করা যাবে। ওই ছবি সব ইউনিটে ভর্তি আবেদন, ভর্তি প্রক্রিয়া ও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
এসএস/জেডএস