ঢাকা: জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনের কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা কলেজে দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী।
নাহিদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক করা হয়।
স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে বলে শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলা হয়, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিংসহ সব অপশক্তি থেকে দূরে রাখতে শিক্ষার্থীদেরকে নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের চেতনায় উজ্জীবিত করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনো চায়নি আমাদের নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানুক। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তরুণদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এ অশুভ শক্তিই শান্তির ধর্ম ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে জঙ্গিবাদে ঠেলে দিচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করতে শহীদ দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ, জাতীয় শোক দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি জাতীয় দিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না রেখে সংগতিপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। নিজস্ব সংস্কৃতি ও চেতনায় উজ্জীবিত করার মাধ্যমে তরুণদের জঙ্গিবাদের ছোবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালনরত অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস