ঢাকা: পত্রিকায় গাইড বই না ছাপানোর অনুরোধ জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। একইসঙ্গে তিনি ‘সৃজনশীল’ নামকে গুরুত্ব না দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে নম্বর ও সময় বণ্টন নিয়ে রোববার (০৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ আহ্বান জানান ড. জাফর ইকবাল।
সৃজনশীল প্রশ্নের নামের ব্যাখ্যা করে এক প্রশ্নের জবাবে ড. জাফর ইকবাল বলেন, এটা আসলে কাঠামোবদ্ধ। কাঠামোবদ্ধ মানে- এক নম্বর জানার জন্য, দুই নম্বর বোঝার জন্য, তিন নম্বর ব্যবহার করার জন্য, চার নম্বর উচ্চতর চিন্তার জন্য। কাঠামো নামটা শুনতে কেমন লাগে, সেজন্য আমরা সৃজনশীল বলি। এটা নিয়ে প্রশ্ন করলে অস্বস্তিবোধ করি, আমি এটা প্রায়ই শুনি।
পত্রিকায় গাইড বই না ছাপানোর আহ্বান জানিয়ে ড. জাফর ইকবাল বলেন, আপনারা পত্রিকায় যদি গাইড বই ছাপিয়ে যান তখন এটা কেমন হয়? অনুরোধ করবো, যেনো গাইড বই ছাপানো না হয়।
শিক্ষকদের সৃজনশীল অংশ সাধারণভাবে পড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যে প্রশ্ন করতে হয় সেভাবে প্রশ্ন করবো। ছাত্ররা যদি জানে সে প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে, নাম সৃজনশীল না কাঠামোবদ্ধ দিলাম, না অন্য একটা দিলাম তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রশ্নের চার অংশের মধ্যে ‘ঘ’ অংশটি সত্যিকারের সৃজনশীল উল্লেখ করে ড. জাফর ইকবাল বলেন, অন্যগুলো পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এটা (সৃজনশীল) একটা নাম, এই নামটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া ঠিক না।
ইংরেজি একটি নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি নাম থাকলে এতো (সৃজনশীল নিয়ে) প্রশ্ন থাকতো না। নাম নিয়ে বড়রা প্রশ্ন করলে একটু অস্বস্তিবোধ করি।
শিক্ষাবিদদের নিয়ে ওই সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সৃজনশীল অংশে সাতটি ও এমমিকিউ অংশে ৩০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএনএস