ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বঙ্গমাতার নামে খুবির নতুন ছাত্রী হলের নামকরণ

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
বঙ্গমাতার নামে খুবির নতুন ছাত্রী হলের নামকরণ

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) নবনির্মিত নতুন ছাত্রী হলসহ বিদ্যমান, নির্মাণাধীন ও নির্মিতব্য ভবনগুলোর নতুন নামকরণ করা হয়েছে।

 

রোববার (০৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জারি করা অফিস আদেশে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

গত ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৮৮তম সভায় এসব নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়। নামগুলো হচ্ছে- নতুন ছাত্রী হল- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ১নং একাডেমিক ভবন- ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবন, ২নং একাডেমিক ভবন- আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, ৩নং একাডেমিক ভবন- কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবন, ১০তলা একাডেমিক ভবন (নির্মিতব্য)- জয় বাংলা ভবন, নতুন প্রশাসনিক ভবন- শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, পুরাতন প্রশাসনিক ভবন- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবন, অডিটেরিয়াম/টিএসসি (নির্মিতব্য)- লালন সাঁই মিলনায়তন, অতিথি ভবন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন, লাইব্রেরি ভবন- কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, আইইআর (নির্মিতব্য) ভবন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইইআর ভবন, মেডিকেল সেন্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্র, জিমনেসিয়াম (নির্মিতব্য)- সুলতানা কামাল জিমনেসিয়াম, সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাব- আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, ১০তলা আবাসিক ভবন (নির্মিতব্য)- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ভবন, প্রফেসর/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবন, সহযোগী অধ্যাপক/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী সুখরঞ্জন সমাদ্দার ভবন, সহকারী অধ্যাপক কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ভবন এবং লেকচারার/সমপর্যায়ভুক্ত কর্মকর্তা কোয়ার্টার- শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. রাশেদুল হাসান ভবন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের চারটি আবাসিক হলের কেবলমাত্র নাম রয়েছে। অন্য ভবনগুলোর নামকরণ ছিলো না।  

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমির ওপর গড়ে ওঠা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রজত জয়ন্তী পার করেছে। এই দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভবন ও স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নামকরণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

বাঙালির যে সমস্ত কৃতী সন্তান বাংলা ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, গবেষণা, চিকিৎসা ও ক্রীড়ায় বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা ও  আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়  ঘটেছে সেইসব ব্যক্তিদের অবিস্মরণীয় অবদান অনাগতকাল ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অবিস্মৃত রাখতে এ স্মারক নামকরণ করা হয়েছে।

এ নামকরণের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ প্রবেশ করলে মনে হবে এটি একখণ্ড বাংলাদেশ- যা আমাদের আবহমান সব ঐতিহ্যই ধারণ করে আছে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।