জবি: বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নবম ব্যাচের উদ্যোগে প্রথম ‘ফুড ফেয়ার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাস্টফুড ও ঘরোয়া খাবারের সমারোহে আয়োজিত ফুড ফেয়ার ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল পুরো ক্যাম্পাস।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিচ তলায় জবি উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান ফিতা কেটে মেলার উদ্ভোধন ঘোষণা করেন। এরপর মেলায় অংশ নেওয়া সব স্টল ঘুরে দেখেন ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন।
সান লাভারস, পল্লী পিঠাঘর, ঢাকাইয়া, বাহারি আহার, স্পাইসি বাইটস, লুচি ডেলিগেট, পিঠার রাজ্য, উদরপূর্তি, কুল পার্লার, ফুড ব্যাংক- এমন সব বাহারি নাম ও স্বাদের খাবার নিয়ে মোট ১৬টি স্টল অংশ নেয় এ মেলায়।
বিভিন্ন দেশি-বিদেশি খাবার ছাড়াও ছিলো বিভিন্ন ধরনের পিঠা, ফুচকা, চটপটি থেকে শুরু করে ফাস্টফুডের বিভিন্ন আইটেম। পিঠার রাজ্যে ছিলো পুলি পিঠা, ফুল পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটাসহ দর্শনার্থীদের মন কারতে সঙ্গে ছিলো বাংলার ঐতিহ্যবাহী নারকেলের নাড়ু। সকাল থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল মেলা।
উদ্ভোধনের পরপরই প্রতিটি স্টলের সামনের ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি থাকায় মেলা শুরু হওয়ার ১ ঘণ্টা অতিবাহিত হতে না হতেই অনেক স্টলের খাবার শেষ হয়ে যায়। তাই মেলায় আগত অনেককেই কিছু না নিয়েই ফিরে যেতে হয়।
মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা খাদিজা আক্তার মেঘা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অবিভূত, আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো সাড়া পেয়েছি। মাত্র এক ঘণ্টায় আমাদের স্টলের সব আইটেম শেষ হয়ে যায়। দর্শনার্থী আর ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে যেন অন্যরকম উৎসবে রুপ নেয় আজকের এ আয়োজন।
মেলায় আগত জবির সাবেক শিক্ষার্থী সাখাওয়াত স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, অসাধারণ আয়োজন ছিল, দারুণ কাজ করেছে আমাদের জুনিয়ররা। মেলায় এতো ভিড় হবে তা বুঝতে পারিনি, একটু লেট করে আসার কারণে কোনো খাবারই পেলাম না!
এ বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ফুড ফেয়ারের উদ্যোক্তা ও নির্দেশক সৈয়দা তাসমিয়া তাসনীম মেলা পরিদর্শন করে বাংলানিউজকে বলেন, জবিতে প্রথমবারের মতো এতো বড় পরিসরে ফুড ফেয়ারের আয়োজন করতে পেরে সত্যি আনন্দিত। 'মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট’ কোর্সের শিক্ষার্থীরা যেমন বাস্তবমুখী প্রয়োগ জানতে পারছে, ঠিক তেমনি পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আয়োজন শতভাগ সফল হয়েছে যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত সফলতাকেও হার মানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
ডিআর/জেডএস