ঢাকা: প্রতিষ্ঠার ছয় বছরেও সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বা সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত চাঁদা পরিশোধ করেনি পাকিস্তান। ফলে পাকিস্তানই এখন পর্যন্ত সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কাছে সবচেয়ে বড় ঋণ খেলাপি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় ‘সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি‘ প্রতিষ্ঠিত করে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক)। দিল্লিতে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটি সার্কভুক্ত দেশগুলোর সমন্বিত সহযোগিতায় পরিচালিত হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে প্রতিবছর সদস্য দেশগুলোকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হয়।
তবে ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পর থেকে আজ অবধি একটি পয়সাও সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়নি পাকিস্তান।
সূত্র জানায়, সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত চাঁদা পরিশোধকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভারত, ভুটান ও আফগানিস্তানও নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করে আসছে। এছাড়া অন্যান্য সদস্য দেশ মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা কিছুটা বিলম্বে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিতে নিজেদের চাঁদা পরিমাণ পরিশোধ করে থাকে।
বর্তমানে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ফলিত গণিত, বায়োটেকনোলজি, কম্পিউটার বিজ্ঞান, উন্নয়ন অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন বিষয়ে শুধু মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। এটি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের এক মিলনমেলাও বটে।
সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বড় একটি খরচ বহন করছে সদস্য দেশ ভারত। দেশটির নয়াদিল্লিতে চাণক্যপুরী এলাকায় ভাড়া করা ক্যাম্পাসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।
পুরো ভাড়া পরিশোধ করছে ভারত সরকার। এছাড়া দক্ষিণ এশীয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য দিল্লীর ময়দান গড়িতে প্রায় একশ একর (৯০.৬৮) জমিও দিয়েছে দেশটি। সেখানে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ চলছে।
এদিকে, বাংলাদেশ, ভারতসহ চারটি দেশের আপত্তিতে গত ৯-১০ নভেম্বর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে নবম সার্ক সম্মেলন বাতিল হয়। আর এরপর থেকে সার্কের অঙ্গ সংগঠনের কোনো বৈঠকে অংশ নেয়নি পাকিস্তান। এমনকি সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকেও অংশ নেয়নি দেশটি। শেষ মূহূর্তে বৈঠকটি স্থগিত করার সুপারিশও করে পাকিস্তান। তবে বৈঠকের কোরাম পূরণ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের অনুরোধ না শুনেই ঢাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান বাদে বাকি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
জেপি/টিআই