সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) এ ঘটনা ঘটে।
অধ্যাপক হাছানাত আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক।
অধ্যাপক হাছানাত আলী অভিযোগ করে বলেন, নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। আমি পর্যবেক্ষণের জন্য নাহিদকে ওই রিপোর্ট ২৪ সেপ্টেম্বর নিয়ে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু নাহিদ সেটা না করে আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আমাকে ফোন দেয়। আমি বাজারে থাকায় তাকে আড়াইটার দিকে অফিসে আসতে বলি। আড়াইটার দিকে আমি একটি ক্লাস নেয়ার জন্য ক্লাসরুমের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় নাহিদ আমার অফিসে এলে আমি তাকে ক্লাস শেষে দেখা করতে বলি।
তখন নাহিদ আমার পথরোধ করে ইন্টারশিপ রিপোর্ট দেখার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করে।
এদিকে, মারধরে ওই শিক্ষকের বাম চোখের পাশে ও নিচে জখম হয়েছে। পরে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নাহিদের স্ত্রী ফোন রিসিভ করেন। তার স্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামী ইন্টার্নশিপের রিপোর্টে স্যারের স্বাক্ষর নেয়ার জন্য কয়েকবার তার কাছে গেছে। কিন্তু ওই স্যার আমার স্বামীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। আজ আমার স্বামীর বাবা-মা তুলে গালিগালাজ করায় স্যারকে মারধর করে থাকতে পারেন। তাছাড়া এমনটা করার কথা না। আপনি আমার স্বামী সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি ইনস্টিটিউটে গিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর পুলিশে খবর দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে ওই ছাত্রকে আটক করে মতিহার থানায় নিয়ে গেছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ওই ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এসআই