রোববার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ অভিমত দেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কোনোভাবেই ইঙ্গিত দেয় না যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।
দুপুর দেড়টায় ফল প্রকাশের কথা থাকলেও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর বাধার মুখে তা বিলম্ব হয়। তখন উপাচার্য তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রশ্ন ফাঁস গুজবের সঙ্গে অশুভ চক্র জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিল এটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের গুজব ছড়িয়ে উসকে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। আমরা ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবো। যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত না করেই রাত তিনটায় প্রশ্ন এসেছে বলেছে, তারা অপশক্তির হয়ে কাজ করছে। আমরা তাদের নজরে রেখেছি। আমরা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে বিষয়টি অবহিত করি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কিছু ক্লু পেয়েছি। আশা করি আমরা ভালো ফল পাবো।
ফল প্রকাশ স্থগিত রাখতে বললে তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, আমার কাছে যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহের উদ্রেক ঘটতো তাহলে আমি পরীক্ষা বাতিল করতাম। আমি পরীক্ষার দিন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। কোথাও এমন সংবাদ পাইনি। দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে প্রগিতশীল ছাত্রসংগঠনগুলো একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে আসলে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তারা দু’টি গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় বহিরাগত অনেককে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এসকেবি/জেডএস