সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে ওই রিকশা তল্লাশি করে এ ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন সাংবাদিকদের জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট থেকে আসা একটি পেয়ারার বস্তা বহনকারী রিকশা আটক করি।
সুদীপ্ত শাহীন জানান, অভিযানকালে রিকশায় থাকা নয়ন নামে এক মাদক ব্যাবসায়ী পালিয়ে যায়। তবে রিকশাচালক রাজিবকে আটক করা হয়। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার সলদা ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা গ্রামে। ইয়ার আলী শাহের ছেলে রাজিব তার মায়ের সঙ্গে ইসলামনগরেই থাকে।
সূত্র জানায়, রাজিবের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একাধিকবার চুরির অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে তার নামে।
রাজিব তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফেনসিডিলের মালিক নয়ন আমার সঙ্গে ছিল। কিন্তু তাকে আটক না করে আমাকে আটক করে আনা হয়েছে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজিবকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (এসআই) কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অতি শিগগির আমরা সব আসামিদের আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এইচএ