মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি পরীক্ষায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন সভার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই পরীক্ষা হলে ৩০ মিনিট আগে না এলে প্রবেশ করতে দেয়া হলেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আগামী পাবলিক পরীক্ষার ৩ মাস আগেই এই নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে এবং পরীক্ষা শুরুর আগে ৩০ মিনিটের মধ্যে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের পরই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিবও ক্যামেরাযুক্ত ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। যারা এ নিয়ম ভাঙ্গবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাহিদ বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে জড়িত বিজি প্রেস থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা এবং তাদের আত্মীয়রাও মনিটরিংয়ে রয়েছেন।
সভায় সিআইডি'র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, বর্তমানে প্রশ্ন ফাঁসের নয়টি মামলায় ৫৭ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। এর মধ্যে এসএসসি'র প্রশ্নফাঁসে জড়িত ৩৫ জন, এইচএসসি'র প্রশ্নফাঁসে জড়িত ১৮ জন এবং মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসে জড়িত ৪ জন। এখন পর্যন্ত কোন মামলা বাতিল হয়নি।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে শিক্ষকরাই জড়িত। বর্তমান অাইনে জড়িত ব্যক্তিরা সহজেই পার পেয়ে যান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পুলিশের এডিশনাল এএসপি মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, পরীক্ষা হলের আশপাশের ফটোকপির দোকান এবং কোচিং সেন্টারের ওপর নজরদারি রাখা হয়েছে।
এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক শিরীন আখতার পরীক্ষা কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো এবং ফেসবুকে প্রশ্ন ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন।
ৠাবের প্রতিনিধি মেজর রাহাত পরীক্ষার কয়েকদিন পূর্ব থেকেই কোচিং সেন্টার পুরোদমে বন্ধের পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এমএন/জেডএম