ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘নতুন নিয়মে’ চলছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
‘নতুন নিয়মে’ চলছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: সারা দেশে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে এবার পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া আবশ্যক করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বুধবার (০১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১টায়।

 

** ফেনীতে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ৫ কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা

এবছর ২৮ হাজার ৬২৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে। মোট পরীক্ষার্থী ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। এরমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৮ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৪২ জন।
 
প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে জেএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র এবং জেডিসিতে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও বোর্ডের কমকর্তারা রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
 
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা উপলক্ষে গত ২৫ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে জানান, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কক্ষে উপস্থিত হতে হবে। তবে দুর্ঘটনাজনিত কারণে কেউ কেন্দ্রে ঢুকতে না পারলেই কেবল ছাড় মিলবে।
 
এ বিষয়ে সন্ধ্যায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আগের নির্দেশনা মেনে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসতে হবে। তবে একান্তই কেউ সমস্যায় পড়লে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তা বিবেচনা করতে হবে।
 
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে ১৮টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ড. মাহবুবুর রহমান।
 
এবার থেকে জেএসসির নিয়মিত শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মী ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা হবে না। তিন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সরবারহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ৪র্থ বিষয়সহ মোট ১০টি পত্রে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দু’টি বিভাগ থাকলেও দু’টি অংশ নিয়ে একত্রে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ এসএসসিকউ’র মতো দু’টি অংশে আলাদা করে পাসের প্রয়োজন হবে না। একই খাতায় দুই অংশের পরীক্ষা হবে। এমসিকউ’র জন্য বৃত্ত ভরাট করতে হবে না। উত্তরপত্রে সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিলেই হবে।
 
শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই তাদের জন্য শ্রুতি লেখকের সুযোগ রাখা হয়েছে।
 
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
 
১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।
 
জেএসসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজার ২৭৭ জন এবং জেডিসিতে পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন। জেএসসিতে ছাত্রের সংখ্যা নয় লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ জন এবং ছাত্রী ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪১ জন। জেডিসিতে ছাত্রের সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৪২ জন এবং ছাত্রী দুই লাখ ৫ হাজার ১০১ জন।   
 
এবার বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে ৬৫৯ জন শিক্ষার্থী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।