মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন, বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু অসাধু ও স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মগ্রন্থের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সমাজে ভিন্ন মতালম্বীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও জঙ্গিবাদ ছড়াচ্ছে। সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়ায় সন্ত্রাস ও মাদকের ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়ছে। সমাজ থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার পাশাপাশি শিশু, কিশোর ও যুবকদের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলাসহ সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ যাতে কোন অপতৎপরতা না করতে পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে ও আইন-শৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারীদের সহযোগিতা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক অভিজাত ও শিক্ষিত পরিবারের মেধাবী সন্তানরাও এ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য আমাদের সন্তান লালন-পালনে আরও সচেতন হতে হবে ও পারিবারিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ, লাইফ এ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কারণ ও নির্মূল বিষয়ে ডিএমপি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের হাত থেকে মুক্ত হয়ে কীভাবে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় ডিএমপি লালবাগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
কেডি/একে