শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হলের গেট বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা কয়েকটি চেয়ার ও হলের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লতিফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন দুপুরে ডাইনিংয়ে খাওয়ার সময় মাছ ভর্তার মধ্যে একটি বড়শি পান। তখন সে বিষয়টি হলের অন্য শিক্ষার্থীদের জানায়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, খাবারে অখাদ্য পাওয়ার বিষয়টি আজকেই প্রথম নয়, এর আগেও হলের ডাইনিংয়ের খাবারে পোকা-মাকড় পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা ‘খাবারে বড়শি কেন’, ‘রিডিং রুম নেই কেন’, ‘অজুখানা নেই কেন’, ‘হলে ক্যান্টিন নেই কেন’ বলে স্লোগান দেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ডাইনিংয়ের বেশ কয়েকটি প্লেট, হলের চেয়ার ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হন।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের কাছে ১৫টি দাবি জানান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দাবি হলো- ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, ক্যান্টিন, সুপেয় পানি, অজুখানা, রিডিং রুম ও গেমস রুমের ব্যবস্থা করা, হলের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, জিমনেশিয়াম, টিভি রুম ও হলের অতিথি কক্ষের আধুনিকায়ন করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন বলেন, ‘খাবারে বড়শি পাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। পরে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা যেসব দাবি জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির কাজ চলছে। হলের সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে বাকি কাজগুলোও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হলের আবাসিক শিক্ষক সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
আরএ