শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনি লিখিতভাবে এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নৈতিক ও ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতি প্রতিবাদ জানিয়ে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করছি।
হুমায়ুন কবীর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে কর্মরত রয়েছেন।
পদত্যাগের বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেছেন, নীতি-নৈতিকতার জায়গা থেকে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে, ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শনিবার তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা আমরন অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
এর আগে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল থেকে আমরন অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আমরা এখনো আদেশের চিঠি পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি শুনেছি। আমাদের একমাত্র দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসি পদত্যাগ করলেই আন্দোলন থেকে সরে যাবো। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ ছুটি ও হল ত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এসএইচ