গোপালগঞ্জ: মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনের সহায়তা করছেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. বশির উদ্দিন বলেছেন, কয়েকজন শিক্ষক, সংখ্যায় ১৫-র অধিক হবে না। তারা (শিক্ষক) পেছন থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহায়তা করছেন।
নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে আন্দোলন টিকিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ড. বশির উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা বুধবার রাতে ফেসবুকে লাইভ করে ১৪ দফা দাবি পেশ করেন।
বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফিস আদেশ জারি করে। শুক্রবার সচেতন শিক্ষক সমাজের ব্যানারে ১৬ দফা দেওয়া হয়েছে। এতে ১০ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। এতে প্রমাণ হয়, শিক্ষকরা ছাত্রদের দিয়ে তাদের দাবি আদায় করতে চান এবং তারাই সহায়তা করছেন। সেখানে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষে সচেতন শিক্ষক সমাজের পক্ষে থেকে ১৬টি দাবি পেশ করা হয়েছে। এ থেকে কী প্রমাণিত হয়? বুঝতেই পারছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আরও বলেন, আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে কোনো সম্পর্ক হোক। হয়তো তারা বুঝবে, তাদের কী দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে এবং তারা আন্দোলন থামিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবে। আর শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, তবে এটা দ্রুত সমাধানের দিকে যাচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে। ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে এটা তদন্ত কমিটি খুঁজে বের করবে। এখানে উপচার্য (ভিসি) কতটুকু এটার জন্য দায়ী, কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে সব মিলিয়েই তদন্ত কমিটি সিদ্ধান্ত দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এসএইচ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।