বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে ‘জোহা স্যারের পাঠশালায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ধর্ষকের ঠাঁই নাই, এই বাংলায়’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান আন্দোলনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এবং দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনকে ২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান তাদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় নেন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ২টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ধরমপুর এলাকার যোজক টাওয়ারের তৃতীয় তলায় থাকেন প্রাধ্যক্ষ বিথীকা বণিক। ওই বাড়িতে তার ভাই শ্যামল বণিকও থাকতেন। ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী প্রাধ্যক্ষ বিথীকা বণিকের সন্তানকে পড়াতেন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্রী বিথীকা বণিকের বাড়িতে পড়াতে যান। রাতে বৃষ্টি হওয়াতে প্রাধ্যক্ষের বাড়িতেই থাকেন ওই ছাত্রী। পরে রাত তিনটার দিকে প্রাধ্যক্ষের ছোট ভাই শ্যামল বণিক ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
এরপর ওই শিক্ষার্থী নিজেকে রক্ষার জন্য অন্য একটি কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করেন দেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার এক বন্ধুকে বিষয়টি জানালে তার বন্ধু জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ ফোন করে ঘটনাটি জানায়। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত শ্যামল বণিককেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ওই ছাত্রী শ্যামল বণিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে পুলিশ তাকে আদালতের ম্যাধমে জেল হাজতে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএইচ