তবে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
উপাচার্যের পদত্যাগ ইস্যুতে জাবি উত্তাল।
মঙ্গলবার উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারী চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে বুধবার (২ অক্টোবর) মানববন্ধন ও বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী জনসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আর আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ওই দু’দিন সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
জাবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সমাপনী দিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার নির্মাণ কাজ প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করেই শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করেছি এবং এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছি। ’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনো ছাত্রনেতাকে ঈদ সেলামি দিইনি। এটি সত্যের অপলাপ মাত্র। আমি আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকদের ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে ফারজানা ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দায়-দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে। কিন্তু আমি এটা চাইতেও পারি না, করতেও পারি না। এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নেবে অথবা বিচার বিভাগ চিন্তা করবে। কিন্তু আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করার অর্থ হচ্ছে- একটা অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগে আহ্বান করা। যেখানে যুক্তি নেই, সেখানে পদত্যাগের ইচ্ছা আমি পোষণ করছি না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এমএ/