হলের ওই ব্লকের শিক্ষার্থীরা এমনটাই ধারণা করছেন। অন্যদিকে হত্যাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী, আবরার ফাহাদকে রাত ৮টা ১৩ মিনিটে ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মীরা ডেকে দ্বিতীয়তলায় নিয়ে যান। এরপরেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ) ও সদস্য মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ)।
দ্বিতীয়তলার ফুটেজে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও তানিম (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ)। এছাড়া তোহা, রাফাদ, মাজেদ, মনির, বিটু, বিল্লাহ, গালিব, মোয়াজ, ইফতি মোশাররফ সকাল, তানভীর, মিজান, জেমি, মোরশেদকে দেখা যায়। যাদের প্রত্যেকে ফাহাদকে মারধরে অংশ নেয়। হকিস্টিক, লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে তাকে পেটানো হয়। যা হত্যা মামলার আলামত হিসেবে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা ভিডিওফুটেজে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসকেবি/এএ