শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
নুরুল হক নুর বলেন, প্রতিষ্ঠান তাদের, তারা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সাময়িক বা বৃহত্তর যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নয়, বরং সন্ত্রাসী ছাত্ররাজনীতি, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধের জন্য সবার দাবি তোলা উচিত। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেছে, তারা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায়নি। তারা সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে।
এসময় ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য ছাত্র সংসদ কার্যকরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডাকসু ভিপি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
এসময় আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় পাঁচটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে ফাহাদসহ সব ছাত্র হত্যার দ্রুত বিচার করা, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণে গণরুম, গেস্টরুম ও হলে ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্ব বন্ধ করে প্রশাসনের মাধ্যমে ১ম বর্ষ থেকে সিট বণ্টন নিশ্চিত করা, দ্রুত সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া, ভারতের সঙ্গে করা দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এসকেবি/একে