শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পূজার ছুটি শেষে শনিবার ক্যাম্পাস খোলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভাপতি পলাশ টেন্টে বসলে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা বিপুল, সোহাগসহ বেশ কয়েকজন টেন্টে উপস্থিত হয়ে পলাশকে তুই-তুকারি করতে থাকেন। বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা বিপুল পলাশকে বলেন, "টাকা দিয়ে চুরি করে কমিটি নিয়ে এসে আবার দলীয় টেন্টে বসছিস লজ্জা নাই তোর? দলীয় টেন্টে বসার অনুমতি তোকে কে দিয়েছে? তোদের মত দুর্নীতিবাজদের দলীয় টেন্টে বসার অধিকার নেই৷ দুই মিনিটের ভেতর ক্যাম্পাস ছাড়বি। "
এসময় সভাপতি পলাশ তাদের কথার প্রতুত্তর না দিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান। পরে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা রাকিব-পলাশ বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে প্রধান ফটকের দিকে যান। বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীদের আসতে দেখে পলাশ প্রধান ফটক ত্যাগ করে কুষ্টিয়া শহরে চলে যান।
শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, 'ছাত্রলীগ কখনো উচ্ছৃঙ্খলতাকে বরদাস্ত করে না। তারা একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে যে আচরণ করেছে এটা ছাত্রলীগের পরিপন্থি। তারা আমার সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে আসি। '
বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা বিপুল বলেন, "টাকার বিনিময়ে কমিটি নিয়ে আসায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অনেক আগেই তাদের ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও সভাপতি ক্যাম্পাসে আসে। আমরা টেন্টের দিকে গেলে তারা টেন্ট ছেড়ে চলে যায়। সভাপতির সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি। '
এদিকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ছাড়াই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিদ্রোহী গ্রুপ। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে লিফলেট বিতরণ করে তারা।
উল্লেখ্য, টাকার বিনিময়ে কমিটি আনার অভিযোগে বর্তমান কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপ৷ অবাঞ্ছিত ঘোষণা হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক রাকিব ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে দুই দফা ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করে বিদ্রোহী গ্রুপ। এরপর থেকে গত এক মাস ধরে ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
আরএ