এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের জুনিয়া গ্রামের ৩৯ নম্বর উত্তর জুনিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত প্রায় এক বছর ধরে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বারবার অবহিত করেও অধ্যাবদি কোনো ফল হয়নি।
স্থানীয়রা আরও জানান, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার পিরোজপুরে বসবাস করায় তিনিও নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। মাঝে মধ্যে স্বামী শাহ-আলমকে পাঠিয়ে দেন তার পরিবর্তে ক্লাস নিতে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষক না আসলে তারা অলস সময় পার করে। অনেকেই স্কুলে এসে খেলাধুলা করে।
একাধিক অভিভাবকের কাছ থেকে জানা যায়, নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় ছেলে-মেয়েদের মধ্যে স্কুলে যেতে অনিহা দেখা দিয়েছে। এসব অবহেলার কারণে ঝরে যেতে পারে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষকের দাবিতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর আগে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে।
স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না, তার স্বামী মাঝে মধ্যে এসে ক্লাস নেন।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে ভালভাবেই পাঠদান চলছে।
ভাণ্ডরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এরই মধ্যে ওই স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। ১৩৬ নম্বর বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতার ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মি. জেছের আলী বলেন, এ বিদ্যালয়ে অনিয়মের বিষয়গুলো আমার জানা ছিল না। খবর নিয়ে দেখা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
আরএ