রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অনুষদ ভবন, প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয় এ মিছিল।
এ সময় উপাচার্য প্রফেসর ফারজানা ইসলামের কুশপুতুল দাহ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করেছেন। তার স্বৈরাচারী মনোভাবের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। আজকের পর থেকে তিনি আর কোনো প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। ’
আন্দোলনের মুখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘এই উপাচার্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কলঙ্ক। তাকে সসম্মানে পদত্যাগে আহ্বান করা সত্ত্বেও তিনি পদত্যাগ করেননি। উপাচার্যের অপকর্মের বিষয়ে জানিয়ে আমরা আচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আমাদের কঠোর কর্মসূচিতে যেতে হচ্ছে। কুশপুতুল দাহের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের অস্তিত্বকে বিলুপ্ত ঘোষণা করছি। ’
কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন রুনু, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদারসহ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতির জোট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্যকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। গত ৩ অক্টোবর উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিও দেন তারা।
তবে উপাচার্য প্রফেসর ফারজানা ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এমএ/এমএ