ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদিক। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের মাসুম শিকদার।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরিফ তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন সাদিক। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে গেলে আরিফ আলাদা হয়ে পড়েন। সেই সময়েই মাসুম শিকদারের সঙ্গে দেখা হয় তার। প্রথমে তার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পর তাকে নানাভাবে প্রশ্ন শুরু করেন মাসুম শিকদার। পরে হলের গেস্ট রুমে নিয়ে টাঙ্গাইলের এক ছাত্রলীগ নেতাকে চেনে কিনা এটা জানতে চান। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরিফ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে চিনেন না বলে জানালে, তুই তুকারি করে আলাপ শুরু করেন মাসুম। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সাদিক।
সাদিকের অভিযোগ, আরিফকে র্যাগ দেয়া হচ্ছে কিনা মাসুমের কাছে এমনটা জানতে চেয়েছিলেন তিনি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়া উচিত নয় এমন বলতেই তাকে কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন মাসুম। হাতে চাবির রিং দিয়ে আঘাতের এক পর্যায়ে চোখের কোণ ফেটে যায় সাদিকের। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই সাদিককে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যান সহপাঠীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুম শিকদার বলেন, সাদিক আমার খুব কাছের বন্ধু। আমরা প্রায় আড্ডা দেই, মজা করি। ওর সঙ্গে কিল ঘুষি এমন নিত্যদিন চলে। তবে আজকে একটু বেশি হয়ে গেছে। ওর চোখের কোণে কেটে যায়। পরে আমরা বিষয়টি মিমাংসা করে নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৩ ঘন্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এমএইচএম