মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে, মেয়েদের হল, উপাচার্যের বাসভবন, চৌরঙ্গী, পরিবহন চত্বর প্রদক্ষিণ করে বটতলায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা জানান, বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে এলে অবরুদ্ধ করা হবে। তাকে কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে দেওয়া হবেনা। আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেবে বলেও এসময় জানানো হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, ‘প্রকল্পের অর্থ থেকে যারা ভাগ পেয়েছেন, তাদের স্বীকারোক্তির পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপাচার্য চোর-বাটপারের মতো দুর্নীতি করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। উপাচার্যসহ তার সমর্থকেরাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে। ’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন, ‘উপাচার্যের কাছে আসা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত ও বিচার না করে তিনি অভিযুক্তদের নিজের দলে ভেড়ান। দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মে সম্পৃক্ত এ উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আমরা নৈতিক দায়বোধ থেকে আন্দোলন করছি। বুধবার থেকে তাকে আর কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে দেওয়া হবেনা। ’
মশাল মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক রায়হান রাইন, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, শামীমা সুলতানা, খবির উদ্দিন, নূরুল ইসলাম, নাজমুল হাসান তালুকদার, তারেক রেজা, আবু সাঈদ, মোস্তাফিজুর রহমান, খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
এছাড়া জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এসআরএস