বুধবার (২৩ অক্টোবর) গণভবনে নীতিমালার নির্দেশনা ও চাহিদা পূরণে সফল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, এখন না পড়ালেও টাকা পাওয়া যাবে, শিক্ষকদের এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ শিক্ষার মান ধরে রাখতে না পারলে এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী স্কুলগুলো যাচাই-বাছাই করতে কিছুটা সময় লেগেছে। যাচাই-বাছাই করে আমরা এমপিওভুক্তর ঘোষণা করছি। এছাড়া আগামীতে যারা এমপিওভুক্ত হতে চান, তাদের অবশ্যই নীতিমালার নির্দেশনা পূরণ করতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এমপিওভুক্তি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একইসঙ্গে নন-এমপিও শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার রাতে অনশন কর্মসূচি স্থগিতও করেন শিক্ষকরা।
এমপিওভুক্তিতে আসা দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল ও কলেজের সংখ্যা এক হাজার ৬৫১টি। মাদ্রাসা ৫৫৭টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫২২টি।
সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকে শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
টিএ