সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকার মাধ্যমে প্রহসনমূলক নির্বাচন করার অভিযোগ তুলে সেটি বাতিলের দাবি জানায় সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুরু থেকেই এ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক জন্ম নিয়েছে।
‘ত্রুটিপূর্ণ এ ভোটার তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে সিনিয়র সহকারী জজের (৪র্থ) আদালতে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে, ভোটার তালিকা ক্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা সংশোধনে সময় প্রয়োজন। ’
তারা আরও বলেন, এছাড়া ভোটার তালিকায় ক্রটি থাকার কথা বিবাদীপক্ষের কৌঁসুলিও আদালতকে জানান। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর বিচারক নির্বাচন স্থগিত করেন। কিন্তু রায় ঘোষণার পরেও কোনো অদৃশ্য শক্তির হস্তক্ষেপে বিচারক তার নিজের দেওয়া রায় প্রত্যাহার করে নেন। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
মানববন্ধনে অভিভাবক ফোরামের সভাপতি এবং গভর্নিং বডি নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী এ কে এম খোরশেদ আলম বলেন, আমরা নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা আমাদের বলেছিল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু নির্বাচন চলাকালীন অসংখ্য ভোটার ডাবল ভোট দিয়েছেন। কথা ছিল সবার উপস্থিতিতে এসব ডাবল ভোট নষ্ট করা হবে। এসব ভোট নষ্ট করা বা সিলগালা করা হয়নি। এতেই প্রমাণ হয় এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আমরা এই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানাই।
এসময় মানববন্ধন থেকে ‘এ নির্বাচন মানি না, ‘ভুয়া ভোটের তালিকা বাদ দাও’, ‘শিক্ষাখাতে অনিয়ম কেনো?’, ‘কারচুপির ভোট মানি না, মানব না’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্লা-কার্ড নিয়ে স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন পরাজিত প্রার্থী জেসমিন আক্তার, মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, মীর মো. শাহাবুদ্দিন টিপু, নাসিমা আক্তার, আনোয়ার পুলক। এসময় কয়েকশ অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
ইএআর/এসএ