ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এমপিওভুক্তি অযোগ্য হলে যাচাই করবো: শিক্ষামন্ত্রী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এমপিওভুক্তি অযোগ্য হলে যাচাই করবো: শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান অযোগ্য হলে ফের যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর ব্যানবেইস সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। এতে উপস্থিত আছেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন।

এ সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা বা কোনো যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত না করার কোনো সুযোগ ছিল না। নীতিমালার পরিপূর্ণ অনুসরণ করা হয়েছে।

পঞ্চগড়ে এমপিওভুক্তির পর রাতারাতি ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে জানার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমপিওভুক্তির প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী যথাযথ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রাথমিক তদন্তে তিনি জানিয়েছেন, এ প্রতিষ্ঠানটির আগে থেকে কার্যক্রম চলত। এমপিওভুক্তির খবরের পর অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তি করা হয়েছে। শুধুমাত্র ভৌগলিক, পার্বত্য এলাকা, প্রতিবন্ধীদের স্কুল, নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমরা কোথাও ভুল চাইনি, নিখুঁত চেয়েছি বিধায় জুলাইয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও অক্টোবরে ঘোষণা হয়েছে। আমরা যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি তিনিও নিখুঁত করতে চেয়েছেন। তারপরও কোথাও যদি অযোগ্য প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে আমরা যাচাই করবো।

এমপিওভুক্তির মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে প্রতিষ্ঠান রয়েছে এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী বা কুখ্যাত ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠিত চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করে চলছে। এটি একটি চলমান কার্যক্রম। স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের  থাকলেও এ সংক্রান্ত সব তথ্য মন্ত্রণালয়ে নেই। স্থানীয় পর্যায় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হলে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কার্যক্রম নেওয়া হবে। যেহেতু এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরকম রাজনৈতিক বিবেচনা করা হয়নি শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে। সেহেতু কোনো বিতর্কিত রাজনীতিকের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একইভাবে নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে।

একই কলেজ জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্তি দুটোই হয়েছে এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠান একটি স্তর সরকারিকরণের পরেও এমপিওভুক্তি হয়েছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি সরকারিকরণ হয়েছে এবং তার আগেই এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করা হয় এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। এ বিষয়ে কেউ রিপোর্ট না করায় বিভ্রান্তি হয়েছে। এটি কোনো অনিয়ম নয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ অক্টোবর গণভবনে ২ হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করেন। ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি বেতন-ভাতার অংশ প্রাপ্য হওয়ার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ ২০১০ সালে ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে সরকার। দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকায় এবার বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিও করা হলো। তবে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো না থাকা, জামায়াত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অযোগ্য প্রতিষ্ঠান তালিকায় স্থান পাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীদের দেওয়া তালিকা থেকে এমপিওভুক্ত না করে অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে সফটওয়্যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিষ্ঠান তালিকা থেকে সব শর্তপূরণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯/আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা
এসকেবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।