তিনি বলেন, গত ১০ বছরে শিক্ষার্থী সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১০ সালে যে সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০২ জন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা-২০১৯ লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
দীপু মনি বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করার জন্য কোনো প্রতারক যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য, মিথ্যা প্রশ্নপত্র তৈরি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১০মবারের মতো অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষায় আগের থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমানগত ও গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা। তারা সুস্থদেহে ও শান্ত মনে পরীক্ষা দেবে। ’১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন ও জেডিসি পরীক্ষায় ৩০ হাজার ২৯১ জন। জেএসসি পরীক্ষায় বিশেষ এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩২ জন ও জেডিসিতে ২১ হাজার ৯৭৮ জন। এবছর বিদেশে মোট নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো- জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, ত্রিপলি, দোহা, সাহাম, বাহরাইন, আবুধাবি ও দুবাই। বিদেশের কেন্দ্রগুলোতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫৪ জন।
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনৈতিকভাবে কোনো কাজ যেন না করেন। তারপরও যদি কেউ কোনো অনৈতিক কাজ করতে যায়। তাহলে আসাদের গোয়েন্দা, র্যাব পুলিশ বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ পরীক্ষা উপলক্ষে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হযেছে। উদ্যোগগুলো- পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। যাদের হাত নেই তাদের জন্য শ্রুতি লেখক দেওয়া হবে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে। এজন্য নির্বাচনী বা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। পাশাপাশি বৃত্তিপরীক্ষাও দিতে হবে না। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২শ মিটারের মধ্যে শিক্ষক ছাত্র, কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইলফোন সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ। পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ প্রবেশ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সবকোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এবছর জেএসসি ও জেডিসিতে মোট ছাত্র সংখ্যা ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন। ছাত্রী ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন। মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন। মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৯৮২টি। ২০১৯ সালে মোট ২৯ হাজার ২৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯,২০১৯
জিসিজি/এএটি