মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংহতি সমাবেশ শুরু হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে উপাচার্য গণঅভ্যুত্থান বলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নষ্টের দায়ভার উপাচার্যকেই নিতে হবে।
রাষ্ট্রচিন্তার প্রতিনিধি রাখাল রানা বলেন, অভিযোগকারীদের যদি প্রমাণ দিতে হয় তাহলে সরকার কী করে? সরকারের কাজ কী? কিছু বললেই শিবির কিংবা জামায়াত বলা হয়। আওয়ামী লীগ যখন উলঙ্গ হয়ে যায়, তখন জামাত-শিবিরকে পোশাক হিসেবে ব্যবহার করে উলঙ্গতা রক্ষা করে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য মহব্বত হোসেন খান বলেন, ভয়ের কিছু নেই। যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনে আমরা সবাই আপনাদের পাশে থাকবো।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ ক ম জহিরুল ইসলাম বলেন, জানার পরেও প্রধানমন্ত্রী বলেন বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের টাকায় চলে। সরকার কি নিজের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচলনা করছে? বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের টাকায় চলে। একথা যিনি স্বীকার করেন না, তার নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য কীভাবে নৈতিক হন তা চিন্তার বিষয়।
‘উপাচার্যের পদটি কোনো দয়ার দান নয়। সিনেটে নির্বাচনের মাধ্যমে উপাচার্য নির্বাচন করতে হবে’ যোগ করেন তিনি।
সংহতি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ইন্ধন দেওয়ার পর উপাচার্য তার পদে বহাল থাকতে পারেন না। উপাচার্য নিজের পদে টিকে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এসএ/