বুধবার (১৩ নভেম্বর) তাদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বগুড়া জেলার বৃন্দাবন পাড়ার আরিফ খান রাফি, একই জেলার শাহজানপুর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের শাকিদুল ইসলাম, রহিমাবাদ গ্রামের আবিদ মুর্শেদ, বটতলার জাহিদ হাসান এবং রংপুর জেলার পাকমোড়ের রিয়াদুল জান্নাত।
জালিয়াতিতে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম কৌশিককেও আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষায় চারটি আলাদা কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির দায়ে বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা আহসান আলী, ইব্রাহিম খলিল জীবন, মাহমুদুল হাসান, সাদ মোহাম্মদ শাহেল এবং ময়মনসিংহের মোহাইমিনুল ইসলাম খানকে ডিজিটাইল ক্যালকুলেটরসহ আটক করা হয়েছিল। তারাও ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্রে উত্তর দিয়েছিল।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার ‘বি-১’ ইউনিটে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হতে আসলে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তাদের পাঁচজনের মধ্যে তিনজন জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, আটক শিক্ষার্থীরা একই এলাকার হওয়ায় এবং একই সেট কোডের প্রশ্নপত্রের বৃত্ত ভরাট করায় মনে হচ্ছে এরা একই চক্রের সদস্য। তদন্তের মাধ্যমে সব বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, তারা প্রশ্নপত্রের সেট কোডে ওভার রাইটিং করে সবাই ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্র মোতাবেক বৃত্ত ভরাট করেছিল। সেট কোডের ওভার রাইটিং এবং অভিন্ন সেট কোডে উত্তর এবং প্রাপ্ত নম্বর কাছাকাছি দেখে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা তাদের শনাক্ত করে রেখেছিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, ভর্তি হতে আসা পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাদের বিরদ্ধে মামলা করেছি। আইন অনুযায়ী পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএ/