যশোর শহরের মণিহার, চাঁচড়া, রেলস্টেশনের নিকটবর্তী চারখাম্বার মোড়, পালবাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পরিবহনে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এ সময় তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের অবস্থান চিনিয়ে দিতে সহায়তা করবেন। এছাড়া যশোর শহরের মণিহার-ক্যাম্পাস, চাঁচড়া-ক্যাম্পাস রুটের গাড়িসমূহ নির্ধারিত সময় ছাড়াও সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলাচল করবে। একইসঙ্গে পালবাড়ি-ক্যাম্পাস রুটে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দু’টি বাস চলাচল করবে।
যবিপ্রবির শেখ হাসিনা ছাত্রী হলে ভর্তিচ্ছু ছাত্রী ও তাদের নারী অভিভাবক এবং শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে ভর্তিচ্ছু ছাত্র ও তাদের পুরুষ অভিভাবকদের জন্য থাকা ও বিশ্রামের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভর্তিচ্ছু শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ওঠা-নামায় যেন কষ্ট না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নিচতলায় তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রে উপস্থিত সহায়তাকারী দল তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন। এছাড়া কোনো পরীক্ষার্থী যথাসময়ে যদি কেন্দ্রে না পৌঁছাতে পারেন, তাহলে নিকটস্থ কেন্দ্রে তার পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ২৪৫টি আসনের বিপরীতে ১৪ হাজার ১৮৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। দুপুর সাড়ে ১২ থেকে ২টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘বি’ ইউনিটের ১৯০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৪০১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘সি’ ইউনিটের ২৫৫টি আসনের বিপরীতে ৯ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে ৩৫ হাজার ৭৮৭ জন ভর্তি পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন: ক্যালকুলেটর (শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ক্যালকুলেটর আনা যাবে), মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ঘড়ি বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ নির্দেশ অমান্যকারীকে হল থেকে বহিষ্কার এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা কিংবা অসাধুপায় অবলম্বণ করতে না পারে এজন্য সবক’টি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং টহল থাকবে। কেউ বিশৃঙ্খলা কিংবা অসাধুপায় অবলম্বন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
ইউজি/আরআইএস/