বুধবার (২০ নভেম্বর) হল বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধনে প্রক্টরিয়াল বডির বাধার সম্মুখীন হন শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এসময় ফয়সাল আহমেদ শুভ’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাযিরুল আযিম বিশ্বাস, সুদীপ্ত ভাস্কর অর্ঘ্য, নিশাত জাহান নিসা, তানভীর আকন্দ, তাবিয়া তাসনীম আমিকা, স্বপন আহমেদ প্রমুখ।
সুদীপ্ত ভাস্কর অর্ঘ্য বলেন, ঈদ ও পূজার ছুটিসহ যে কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে হল বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। এসময় শিক্ষার্থীরা নতুন করে টিউশন পায়। ৮ জানুয়ারির বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। কিন্তু, ৯ তারিখ থেকে হল বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি উপস্থিত হলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ৬/৭ ঘণ্টা হল বন্ধ রাখা হয়। তবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এর ব্যতিক্রম।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন হল বন্ধের কোনো যৌক্তিকতা আমাদেরকে দেখায় না। গতকাল আমাদের মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হারের কারণ দেখিয়ে মানববন্ধন নস্যাৎ করে দেয়। সংখ্যার ভিত্তিতে সত্য-মিথ্যা বিবেচনা করা কখনোই কাম্য নয়।
নিশাত জাহান নিসা বলেন, শীতকালে মেয়েদের এক ঘণ্টা আগে হলে প্রবেশ করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বন্ধ হয় রাত ৮টায়। কিন্তু, আমাদের হলে প্রবেশ করতে হয় সন্ধ্যা ৭টায়। এটি হাস্য-রসাত্মক কৌতুক বৈকি।
তিনি বলেন, ক্লাস, পরীক্ষাতো এক ঘণ্টা আগে নেওয়া হয় না। শিক্ষার্থীদের জন্য আইন করলে শিক্ষার্থীদের কথাও শুনতে হবে।
আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এসময় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হল বন্ধের প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এইচএন/এফএম