মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মশাল মিছিল বের হয়ে প্রধান ফটক ঘুরে চেতনা একাত্তরের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সেখানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার প্রশাসনকে ১৬ দফা দাবিতে দুই ধরনের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি মেনে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রথম দফায় ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। প্রথম দফার ছয়টি দাবির হলো- ক্যাম্পাসে সর্বাত্মক গণতান্ত্রিক পরিবেশে নিশ্চিত করা, আসন্ন তৃতীয় সমাবর্তন উপলক্ষে হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার করা ও বছরের ৩৬৫ দিনই আবাসিক হলগুলো খোলা রাখা, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়িয়ে দাম কমানো, রাত ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা রাখা, সংগঠনগুলোকে ভেন্যু বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অর্থ না নেওয়া এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ না করা।
এদিকে, দাবি আদায়ে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় দশ দফা দাবি মেনে নিতে আগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা।
গত ২০ নভেম্বর হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধনে ‘অনুমতি’ না নেওয়ার অজুহাতে বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। এর প্রতিবাদে পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রক্টরের আচরণকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আখ্যায়িত করে পুনরায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
তৃতীয় সমাবর্তন ও শীতকালীন অবকাশে হল বন্ধের সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
টিএ