বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচতলার জীবনানন্দ দাশ মিলানায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উপাচার্য বলেন, আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সুনাম আমরা অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই।
তিনি বলেন, বিগত বছরের ন্যায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষেও ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ এ তিনটি ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। যার মধ্যে ‘খ’ ইউনিটে ৫৬০টি আসনের বিপরীতে ১০ হাজার ১০৬ জন আবেদনকারী রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ নগরের সরকারি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আলেকান্দা সরকারি কলেজ, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ‘গ’ ইউনিটে ৩শ’ আসনের বিপরীতে ৬ হাজার ১২ জন আবেদনকারী রয়েছেন। শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ নগরের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে ‘ক’ ইউনিটে ৫৮০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৬৭ জন আবেদনকারী রয়েছেন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজ, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চে বিদ্যালয়, ওয়াহেদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আলেকান্দা সরকারি কলেজ, বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ এবং সরকারি বরিশাল কলেজে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষায় শাখা পরিবর্তনে আবেদনকারী ১৩ হাজার ২৭১ জন রয়েছেন। উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিকভাবে সচেষ্ট রয়েছে। এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি, উপ-কমিটি ও ইউনিটভিত্তিক কমিটিগুলো কেন্দ্রপ্রধান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং অসদুপায় অবলম্বন একটি আলোচিত বিষয়। এ বিষয়টি সামনে রেখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অবৈধ পরীক্ষার্থী শনাক্তকরণ এবং সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার রোধকল্পে পরীক্ষার্থীদের মুখ ও কান অনাবৃত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন এবং ক্যালকুলেটরসহ অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস রাখা যাবে না।
উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহার রোধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বাইরের কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক জ্যামার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্বরত থাকবে।
‘ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রসহ (ডাউনলোড করা) পরীক্ষার হলে প্রবেশ, পরীক্ষার শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যসহ এসএসসি অথবা এইচএসসির রেজিস্ট্রশন কার্ডের মূল কপি সঙ্গে রাখতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://admission.eis.bu.ac.bd, www.bu.ac.bd) পাওয়া যাবে। ’
এসময় উপাচার্য আশ্বস্ত করেন, পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলেও সেশনজটের কোনো শঙ্কা নেই। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা এবং জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতিই নতুন করে নেওয়া হয়েছে, পূর্বের প্রস্তুতির সঙ্গে কোনো মিল নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএস/এফএম