এই সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে সরকারি নির্দেশাবলীর ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা বলা ছিল। অনুচ্ছেদের আওতায় পরীক্ষার হলে কোনো শিক্ষার্থী একে অন্যের সঙ্গে কথা বললে, অননুমোদিত কাগজপত্র বা বস্তু সঙ্গে রাখলে, অন্যকে দেখানোর কাজে সহযোগিতা করলে, উত্তরপত্র ছাড়া অন্য কিছুতে লিখে আনলে তাকে ওই বিষয়সহ অন্য বিষয়ের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার অথবা পরীক্ষা বাতিল করা হতো।
এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে প্রায় দুইশ’ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার পর সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে আদালত গত ২১ নভেম্বর স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শিশুদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ হবে না, সেই সঙ্গে এবারের পরীক্ষায় বহিষ্কার হওয়া শিশুদের ফের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নির্দেশনাবলীর ১১ নম্বর নির্দেশনা কেন অবৈধ হবে না- তাও জানতে চান আদালত।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে বহিষ্কৃতদের ২৮ ডিসেম্বর মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলপ্রকাশ করতে হবে।
এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে পরীক্ষা নিচ্ছে। সমাপনী পরীক্ষার ফল আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআইএইচ/একে