ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: হল খোলার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র জুনায়েদ আলম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মে মাসেই হলে উঠব। আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
তবে এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একমত নয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুনায়েদ আলম বলেন, ওরা আন্দোলনে ছিল না। এখন উসকে দিচ্ছে। ওদের হয়তো নির্দিষ্ট এজেন্ডা আছে।
অপরদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, হাটবাজার এমনকি ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সবকিছুই নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয়ে আসছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম এভাবে আইসোলেটেড করে রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক। উচ্চ শিক্ষার্থীদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে এবং সুদক্ষ নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় সার্ভিস প্রোভাইডার পেতে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম অফলাইনে শুরু করার কোনো বিকল্প নেই।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আন্দোলন শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রণে এটি এখন জাতীয় সিদ্ধান্তে পরিবর্তিত হয়েছে এবং আমাদের ভিসি স্যার জাতীয় সিদ্ধান্তের বাইরে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তে ১৭ মে পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এ প্রেক্ষিতে আমাদের ১ ও ২ নং দাবির আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চারটি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো—শিক্ষার্থীদের দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনা, শিক্ষার্থী হয়রানি দূরীকরণে হল খোলার আগ পর্যন্ত অফলাইন কার্যক্রম এবং এসাইনমেন্ট, পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা, হল খোলার পর শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত ক্লাস নেওয়া এবং পূর্ণ প্রস্তুতির সুযোগ দিয়ে পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা এবং সেশনজট নিরসনকল্পে কার্যকরী পদক্ষেপ ছাত্রনেতা ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে পরিকল্পনা করে হল খোলার পূর্বেই লিখিত জানিয়ে দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এসকেবি/এমজেএফ