ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নাজিরপুরে ফর্ম পূরণ ও নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
নাজিরপুরে ফর্ম পূরণ ও নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পিরোজপুরের মানচিত্র

পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) ফর্ম পূরণ ও নবম শ্রেণির নিবন্ধন ফি’র নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির নিবন্ধন বাবদ বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেড় হাজার থেকে ২১শ টাকা টাকা করে নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা দেওয়ার পর শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের প্রমাণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে না কোনো ধরনের রশিদ। বরং রশিদ চাইলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ের ব্যবসা বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্র অরিন রায় ও তার বাবা বরুন রায় জানান, নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) ফি বাবদ ২ হাজার ৫০ টাকা দিতে হয়েছে। ওই টাকা আদায় করেছেন বিদ্যালয়ের ব্যবসা বিভাগের শিক্ষক অরুন পাল। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দীপ মণ্ডল জানায়, তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

টাকা আদায়কারী শিক্ষক অরুন পাল জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ওই টাকা আদায় করা হয়েছে। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরে দেখা করে কথা বলবো। আর রশিদ ছাপানো না থাকায় শিক্ষার্থীদের রশিদ দেওয়া হয়নি।

এছাড়া উপজেলার মাটিভাঙ্গার হাজী আব্দুল গনি, রঘুনাথপুর হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্রীরামকাঠী ইউজেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাবুরহাট মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ৪শ থেকে ৮শ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, এমন লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া এইচএসসির ফর্ম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি মানবিক ও বাণিজ্য ১০৭০ ও বিজ্ঞান শাখার জন্য ১১৬০ টাকা হলেও দ্বিগুণেরও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ফি দেখিয়ে ১৬শ থেকে ২৬শ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।  

উপজেলার গাওখালী কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মিতালী বেপারী জানান, তার কাছ থেকে ১৬শ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগ উপজেলার শহীদ জননী, ঘোষকাঠী, বৈঠাকাটা, রাজলহ্মীসহ বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে জানতে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন গাইন জানান, এইচএসসির মানবিক ও ব্যবসা শাখার জন্য ১০৭০ টাকা ও বিজ্ঞান শাখার জন্য ১১৬০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো কলেজ এর বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।