কক্সবাজার: ‘ভিসি চাই, ভিসি চাই-শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই’ স্লোগানে ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (সিবিআইইউ) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার আদালত ভবন প্রাঙ্গণে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ফোরামের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দেন।
সমাবেশে ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা জানান, যতদিন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে না ততদিন তারা ক্লাসে ফিরে যাবে না এবং ইউনিভার্সিটির সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করবে না। ট্রাস্টের চলমান দ্বন্দ্ব মিটিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেওয়া যাবতীয় নিয়োগ বাতিল করে ইউজিসির বিধি মোতাবেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে।
এছাড়া সমাবেশে ঘোষিত শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ট্রেজারার নিয়োগ, স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ, সব ডিপার্টমেন্টে নিয়ম মোতাবেক অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকসহ চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ, ওয়েবসাইট সমৃদ্ধকরণ, সেশনজট বিলুপ্তকরণ, একাডেমিক ক্যালেন্ডার ও সেমিস্টার নিয়ে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন, ট্রাস্টি বোর্ড ও প্রশাসনিক গোলযোগ থেকে শিক্ষা কার্যক্রমকে মুক্ত রাখা, গবেষণা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ দেওয়া।
এছাড়াও ইউনিভার্সিটিকে ইউজিসির ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা-২০১০’ এর আলোকে পরিচালনা করার উদ্যোগ নিতে দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে ইউনিভার্সিটির হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্র আরিফ সাঈদ, কম্পিউটার ফ্যাকাল্টির ছাত্র হোসাইন মুরাদ প্রিন্স, বিবিএ ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী শামা নূরসহ অন্যারা বক্তব্য দেন।
প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্র নেতারা আরও বলেন, সম্প্রতি ইউজিসির পরিদর্শন দল আমাদের ইউনিভার্সিটি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এক বছরের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে সুপারিশ করেছে। এতে বুঝা যায়, আমাদের ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণার প্রাথমিক ধাপ শুরু হয়ে গেছে। যেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে গুরুত্বারোপের কথা রয়েছে সেখানে ইউজিসি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার এ সুপারিশ আমাদের হতাশ করেছে।
গত দেড় বছর ধরে ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার কোনো পরিবেশ নেই। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যে ট্রাস্টের মাধ্যমে ইউনিভার্সিটি পরিচালিত হয়েছে তা বাদ দিয়ে হঠাৎ করে আরেকটি নতুন ট্রাস্ট গঠিত হওয়ায় এখানে মামলা-মোকাদ্দমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে তা নিষ্পত্তিপূর্বক পূর্বের ন্যায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা না হলে প্রাণের এ ইউনিভার্সিটি রক্ষায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একই দাবিতে ইউনিভার্সিটির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
এসবি/আরআইএস