ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা, প্রতি আসনে লড়ছেন ২০ জন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২১
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা, প্রতি আসনে লড়ছেন ২০ জন ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা, প্রতি আসনে লড়ছেন ২০ জন। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার আসন প্রতি লড়ছেন ২০ জন, যা আগের বছর ছিল ১৮ জন।

 

শনিবার (০২ অক্টোবর) ঢাকা ও সাত বিভাগীয় শহরে সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৪৭ হাজার ৬৩২ জন, যা গতবর্ষে ছিল ৪৫ হাজার ৩ জন। আসন সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৮। আসন প্রতি লড়ছেন ২০ জন, যা আগের বছর ছিল ১৮ জন।  

পরীক্ষায় ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৬ হাজার ৩৭৭জন), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (২ হাজার ৮৫২ জন), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৫ হাজার ৭২ জন), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (৫ হাজার ২০৪ জন), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৯২১ জন), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (১ হাজার ৭৪১ জন), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (৬ হাজার ৬১৫ জন)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভর্তি-পরীক্ষা MCQ (Multiple Choice Question) ও লিখিত উভয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের পরীক্ষার MCQ অংশ ৪৫ মিনিটব্যাপী এবং লিখিত অংশ ৪৫ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ অংশে বাংলায় ১৫, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান থেকে ৩০ নম্বর থাকবে। যারা ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনা করেছেন তারা বাংলার পরিবর্তে সমান নম্বরে ইলেকটিভ ইংলিশের উত্তর করবেন।

লিখিত অংশেও বাংলা বা ইলেকটিভ অংশ থাকবে ২০ নম্বর এবং ইংরেজিতে থাকবে ২০ নম্বর। সর্বমোট নম্বর হবে ৪০।

ভর্তির জন্য মোট ১২০ নম্বরের (MCQ: ৬০, লিখিত ৪০, মাধ্যমিক/ সমমান: ১০, উচ্চ মাধ্যমিক ১০) ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ করে এই দুইয়ের যোগফল MCQ ও লিখিত অংশ মিলিয়ে ১০০ নম্বরের ভর্তি-পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করে মোট ১২০ নম্বরের ওপর পরীক্ষার্থীর মেধাস্কোর তৈরি করা হবে।

ভর্তি-পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে পাস নম্বর ৪০। প্রার্থী ৪০ নম্বর না পেলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। একইসঙ্গে ভর্তি-পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী MCQ অংশে বাংলায় ন্যূনতম ০৫ নম্বর, General English-এ ন্যূনতম ০৫ নম্বর, সাধারণ জ্ঞানে ন্যূনতম ১০ নম্বর এবং কমপক্ষে সর্বমোট ২৪ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে। এ-লেভেল সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে বাংলা বিষয়ের বিকল্প হিসেবে Elective English-এ ন্যূনতম ০৫ নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পেতে হবে। পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার অংশে ন্যূনতম ১১ নম্বর পেতে হবে। এর মধ্যে বাংলা অংশে ন্যূনতম ৫ এবং General English-এ ন্যূনতম ৫ পাওয়া আবশ্যক। 'এ' লেভেলের ক্ষেত্রে উল্লিখিত শর্ত সমভাবে প্রযোজ্য হবে। প্রতি চারটি ভুল উত্তরের জন্য একটি শুদ্ধ উত্তরের নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২১
এসকেবি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।