ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা

লিখিত অংশই ভূমিকা রাখবে মেধা তালিকায়

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২১
লিখিত অংশই ভূমিকা রাখবে মেধা তালিকায় ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পাঁচটি ইউনিটের দু’টি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে দ্বিতীবারের মতো এমসিকিউ’র সঙ্গে লিখিত অংশ যুক্ত করা হয়েছে।

আর এ লিখিত অংশই মেধা তালিকা ও বিষয় পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজির ভিত্তি যাছাইয়ে এটি ভূমিকা রাখায় শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে ভর্তিচ্ছুরা লিখিত অংশের তুলনায় এমসিকিউ অংশের উত্তর ভালো দিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন। দুই ইউনিটে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে বাংলানিউজ। তাদের মন্তব্যে এসব বিষয় ফুটে ওঠেছে।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) ‘ক’ ইউনিট ও শনিবার (২ অক্টোবর) ‘খ’ ইউনিটের প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মানবন্টন চারুকলা অনুষদ ছাড়া বাকি ইউনিটগুলোর এমসিকিউ ও লিখিত অংশের সময় এবং নম্বর একই। ৬০ নম্বরের এমসিকিউর জন্য ৪৫ মিনিট ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের জন্য ৪৫ মিনিট বরাদ্দ রয়েছে। পরীক্ষার ১০০ নম্বর ও উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বিবেচনায় নিয়ে সর্বমোট ১২০ নম্বর হিসেব করে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হয়। আগে ১২০ নম্বরের পরীক্ষা ও রেজাল্টের ৮০ নম্বর যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের মেধা তালিকা তৈরি করা হত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় নির্ধারণে পরীক্ষায় সব বিষয়ে আলাদা আলাদা শর্ত থাকে। একজন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বর একইসঙ্গে এমসিকিউ ৬০-এর মধ্যে ২৪ ও লিখিত অংশে ১১ পেতে হবে। অন্যথায় তাকে অনুত্তীর্ণ বিবেচনা করা হবে। শিক্ষার্থীরা প্রথম দু’টি শর্ত সহজে পূরণ করতে পারলেও লিখিত অংশে নূন্যতম নম্বর না পাওয়ায় মেধা তালিকা থেকে সহজে ছিটকে যাচ্ছে। সময় ও প্রশ্ন পদ্ধতির কারণে এমনটাই হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তারা। নীলফামারীরর জনতা ডিগ্রি কলেজের রাকিব আহমেদ তো বলেই বসলেন, লিখিত পরীক্ষা একটি প্যারা। সময় পাওয়া যায় না। আজকে তো পুরো অনুচ্ছেদ লিখে গ্যাপ পূরণ করতে হল। এটা যদি নাম্বারিং করা থাকত তাহলে কম সময়ে উত্তর করতে পারতাম। এ অংশে পাস না করলে আমার রেজাল্ট আসবে না। কিন্তু এমসকিউ ভালো দিয়েছি।  

শরীয়তপুরের চরকুমারি মাদ্রাসার ইব্রাহীম খলিল বাংলানিউজকে বলেন, সময় না থাকায় লিখিত অংশের অর্ধেক উত্তর করতে পারিনি।  

জয়পাড়া কলেজের ছাত্রী মেফতাহুল জান্নাত বাংলানিউজকে বলেন, সময়টা আরেকটু বাড়ানো হলে খুবই ভালো হতো। কম সময়ে এত লেখা যায় না। তবে আমি আশাবাদী। কারণ সময় তো সবার জন্য সমান।  

ইসলামপুর কলেজের (জামালপুর) সাইদুল বাংলানিউজকে বলেন, লিখিত অংশ ভালো হয়নি। কারণ এটি নিয়ে ধারণা ছিল না সেভাবে। এমসিকিউতে বেশি জোর দেওয়াতে সেটি ভালো উত্তর করতে পেরেছি।

একই কথা বলেছেন ‘ক’ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লার নূর মিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজের জান্নাত বাংলানিউজকে বলেন, প্রশ্নের মান ভালো ছিল। কোনো ধরনের ভুল পাইনি। সেট নিয়ে কোনো ঝামেলা ছিল না। তবে লিখিত অংশে সময় কম। যার কারণে পারা অংশের উত্তর করতে পারিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২১
এসকেবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।