ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২১
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু  এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: করোনা মহামারির মধ্যে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।  

১১টি শিক্ষা বোর্ডে এ বছর মোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় বিষয়ে পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর শেষ হবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর শেষ হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রথমদিন সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করতে গত ১৮ নভেম্বর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।  

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এইচএসসিতে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন অংশ নিচ্ছে।  

২০২০ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। গতবারের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৩ হাজার ৮৭৫ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১২০টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।  

বিদেশের ৮টি কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী ৪০৬ জন। এর মধ্যে জেদ্দা ১১৪ জন, রিয়াদে ৭৪ জন, ত্রিপলী ২ জন, দোহা ৭৯ জন, আবুধাবীতে ৩৪ জন, দুবাইতে ২৬ জন, বাহরাইনে ৫৮ জন, ওমানের সাহামে ১৯ জন।  

পরীক্ষা শেষে এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

মানতে হচ্ছে যেসব নির্দেশনা

পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হচ্ছে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য সবার জন্য মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ছবি তোলা নিষেধ।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্য কারো জন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করার অনুমতি নেই।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে/সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছে।  

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্ৰুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।  

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।  

২০২১ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক নোটবুকের প্রাপ্ত নম্বর অনলাইনে বোর্ডে পাঠাতে হবে।

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পরীক্ষার্থীদের মধ্যকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের একই সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ না করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।