শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তালেবানী কায়দা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৯টায় সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আন্দোলনে অনশনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৪ বছর আমাদের ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আমাদের রোড় পেইন্টিং বন্ধ করে দেয়। এরপর ছাত্রীদের হলে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। তিনি আসার পর থেকে খারাপ ফলাফলধারীদের নাজেহাল করে আসছেন।
তিনি বলেন, এই ভিসি আমাদের ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডগুলোকে বন্ধ করে তালেবানী ক্যালচার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের ক্যাম্পাসের টং দোকানগুলো বিনা নোটিশে বন্ধ করে দিয়েছেন এ ভিসি। যেখানে বসে আমরা সাংস্কৃতিক চর্চা করতাম।
শাহরিয়ার বলেন, শিক্ষকদের জন্য এসি বাসসহ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সে তুলনায় শিক্ষার্থীদের বাস ছিল অনেক কম। এতে শিক্ষার্থীরা ঝুলে ঝুলে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করতে হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানালেও কোন সমাধান দেননি তিনি। গত চার বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ক্ষোভ জমেছে তার ফলাফল এ আন্দোলন। তাই আমরা চাই তিনি পদত্যাগ করে আমাদের সাংস্কৃতিক মনা ক্যাম্পাস আবারও ফিরিয়ে দেবে।
অনশনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অনশন ভাঙবো না। যতদিন এ ভিসি পদত্যাগ করবে না ততদিন আমরা এক দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এছাড়া আমাদের সাবেক সিনিয়র যাদেরকে গ্রেফতার করেছে তাদের অবিলম্ব মুক্তি দেওয়ার দাবি করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
জেডএ