ঢাকা: করোনা মহামারির মধ্যে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করতে প্রস্তাব করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
এ প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা হয়। তবে করোনার কারণে ২০২১ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হয়।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীদের মধ্যকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবছর বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের একই সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ না করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল।
সারাদেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় বিষয়ে পরীক্ষা গত বছরের ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর শেষ হয়।
এবছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে নয় হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র সাত লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এইচএসসিতে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন অংশ নেয়।
২০২০ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। গতবারের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৩ হাজার ৮৭৫ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১২০টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
বিদেশের আটটি কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী ৪০৬ জন। এর মধ্যে জেদ্দা ১১৪, রিয়াদে ৭৪, ত্রিপলীতে দুই, দোহায় ৭৯, আবুধাবীতে ৩৪, দুবাইয়ে ২৬, বাহরাইনে ৫৮, ওমানের সাহামে ১৯ জন।
পরীক্ষা শেষে এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস