ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবিকে পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই: উপাচার্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
খুবিকে পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই: উপাচার্য

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ‘ট্রেনিং ফর দ্য অফিসার্স টু প্রোভাইড ইফিসিয়েন্ট সাপোর্ট সার্ভিস অ্যাট খুলনা ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই ব্যক্তির কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গতিশীলতা অনেকটাই নির্ভর করে কর্মকর্তাদের দক্ষতার ওপর। সময় পাল্টেছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব অগ্রগতির সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অভিলক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে নিতে হবে। পরিবেশ ও প্রতিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা জানি এক পাতা কাগজ তৈরিতে ৮ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ফাইল ওয়ার্কে সময় লাগে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই ই-ফাইলিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে সমাজ এগিয়ে চলে। প্রযুক্তিজ্ঞান কেউ কখনও কেড়ে নিতে পারে না। কর্মকর্তাদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর আন্তরিকতা না থাকলে কোনো কাজে সাফল্য আসে না।

উপাচার্য বলেন, রাজনীতিকে আমরা অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক অর্থে নিয়ে গেছি, ব্যবহার করছি যা ঠিক নয়, রাজনীতি হচ্ছে ইতিবাচক কিছু। সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব, গতিশীলতা, জবাবদিহিতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে রাজনীতির হাত ধরেই।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন মানে নৈরাজ্যবাদীতা নয়, সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করতে পারলে প্রতিষ্ঠানে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হবে। কাজের মধ্যে পেশাদারিত্ব থাকলে সবাই উপকৃত হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনের পর উপাচার্য ‘একজন কর্মকর্তার বৈশিষ্ট্য’ শীর্ষক একটি সেশন পরিচালনা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ার্দার। প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, সিএসই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমান, ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ মো. মুরসালিন মামুন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ), যুগ্ম সচিব সৈয়দ রবিউল আলম এবং আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন কর্মকর্তা (সেকশন অফিসার ও সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান) অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
এমআরএম/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।