জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): করোনা মহামারির কারণে গত দু’বছর জবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ভিন্ন আমেজে বর্ষবরণ উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
শোভাযাত্রায় জবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ অংশ নেয়।
এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রকৃতি’। শোভাযাত্রায় পাখি, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ ও পেঁচার প্রতিকৃতি স্থান পায়।
এদিকে শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় ছিল নৃত্য, দলীয় সংগীত এবং লোক সংগীত। এছাড়াও ‘মনের মানুষ’ ও ‘ট্রাভেলার্স’ ব্যান্ডের পরিবেশনায় রক সংগীত পরিবেশিত হয়।
এ সময় জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আশা করি নতুন প্রজন্ম বাঙালির মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, মনের কালিমা দূর করতে হলে আমাদের জাগ্রত হতে হবে। নিরবতা এক ধরনের অপরাধ। এ কারণে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরবতা ভঙ্গ করতে হবে।
এদিকে বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জবি থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২২
এনএসআর