ফরিদপুর: টাকা চুরি অপবাদ দিয়ে মো. মাহমুদ (১২) নামে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অপরাধে তিন ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ফরিদপুর মুসলিম মিশন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের সোপর্দ করা হয়।
পুলিশে সোপর্দ তিনজন হলেন- মো. আব্দুল্লাহ্ (১৮), মো. শাহাদত (১৮) ও মো. নিয়ামুল ইসলাম (১৭)। তারা সবাই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
মিশন কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকার শিক্ষকদের হাত থেকে বেত কেড়ে নিয়েছে বিধায় নিরুপায় হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাছাড়া এদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে আরও বড় ধরনের বিপদও ঘটতে পারে।
এদিকে, শনিবার (৪ জুন) ফরিদপুর মুসলিম মিশনে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে এ বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর মুসলিম মিশনের সম্পাদক অধ্যাপক এম এ সামাদ, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, তত্ত্বাবধায়ক মো. আলাউদ্দিন খান, সহকারি তত্ত্বাবধায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম, অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা ওমর ফারুক, দাখিল মাদরাসার সুপার ওয়েস-কারণীসহ শিক্ষক মণ্ডলী।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩ জুন) টাকা চুরির অপবাদে মাহমুদ নামে শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে আটকে রাত ১০টা থেকে দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত নির্যাতন চালানো হয়। মাহমুদকে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে লাঠিচার্জের মাধ্যমে করা হয় রক্তাক্ত। খবর পেয়ে মাহমুদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে মিশন কর্তৃপক্ষ। মুসলিম মিশন হাসপাতাল, ফরিদপুরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলের নির্দেশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সনাতন মণ্ডল ওই তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে।
মুসলিম মিশন বিদ্যালয়ের সম্পাদক অধ্যাপক এম এ সামাদ কে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
এসআরএস