সাতক্ষীরা: শ্রেণিকক্ষে ঢুকে একে একে ৬৫ জন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে রসায়ন বিভাগের ইন্সট্রাক্টর মিঠুন কুমার মণ্ডল নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে শ্যামনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মাধ্যমে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষের পাশের বারান্দায় দাঁড়িয়ে শিক্ষক মিঠুন কুমার মণ্ডল মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় ভেতরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে কথা বলায় ওই শিক্ষক রাগান্বিত হয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে একে একে ৬৫ ছাত্রকে এলোপাতাড়িভাবে লাঠিপেটা করেন। শিক্ষকের লাঠিপেটায় হাত ভেঙে যাওয়া বায়োজিদ হোসেন নামে এক ছাত্র ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। একপর্যায়ে মারধরের শিকার ছাত্রদের অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ তাদের নিবৃত্ত করেন। মারধরের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মিঠুন কুমার মণ্ডল।
অভিযুক্ত শিক্ষক মিঠুন কুমার মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা হৈ-হুল্লোড় করায় তাদের শান্ত হতে বলা হয়। কিন্তু তারা নির্দেশনা না মেনে উচ্চস্বরে কথাবার্তা বলা অব্যাহত রাখায় তাদের কিছুটা শাসন করা হয়। এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এক ছাত্রের হাতে বেশি ব্যথা লাগে।
শ্যামনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আবুল খায়ের মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পর পরই এলাকার সুধিজনসহ অভিভাবকদের নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
এসআরএস