জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, (জাবি): নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ পুরুষ নাকি মহিলা জানেন না শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তুলেছেন ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ। উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক নাহিদা হক।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নিজেদের হলের সামনেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রীরা। এ সময় তারা দাবি করেন, বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও ক্যান্টিনের খাবারের সমস্যার জন্য হল প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রাধ্যক্ষও এ ব্যাপারে কোনো বিকার দেখাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন হল প্রশাসন বারবার মিথ্যা আশ্বাস দেয়। কোনো সমস্যার সমাধান তারা করছেন না। প্রাধ্যক্ষকে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন না। উল্টো নম্বর ব্লক করে রাখেন।
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, হল প্রাধ্যক্ষ ফিস্টের প্রোগ্রাম ছাড়া কখনোই আসেন না। তিনি পুরুষ নাকি মহিলা আমরা অনেকেই তা জানি না। তার একটা সইয়ের জন্য সপ্তাহ ধরে সময় ব্যয় হয়।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, গত পাঁচ বছরে হলের প্রাধ্যক্ষকে কখনও পাশে পাইনি। কোনো সমস্যার জন্য উনাকে মোবাইলে কল দিলেও লাভ হয় না; তিনি নম্বর ব্লাক করে দেন। বৃহস্পতিবারও তাকে কল করা হয়, তিনি উল্টো আমরা যারা ছাত্রলীগ করি তাদের এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বলছেন। কোনো সমস্যার কথা জানাতে গেলেই লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে বলেন প্রাধ্যক্ষ।
এ বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ওয়ার্ডেন অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমি সমস্যার কথা যখনই শুনেছি তখন চলে এসেছি । শিক্ষার্থীদের দাবি প্রাধ্যক্ষকে আসতে হবে। আমরা জেনেছি উনি অসুস্থ। বার বার ফোন দিয়ে প্রাধ্যক্ষ ম্যাডামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি; উনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো শুনেছি। তাদের ফোন প্রাধ্যক্ষের না ধরা, নম্বর ব্লক করে দেওয়া খুবই বাজে কাজ। এসব বিষয়ে আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করব। শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সামগ্রিক বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসার প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাহিদা হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময় : ১৯২০ ঘণ্টা, ৫ আগস্ট, ২০২২
এমজে