ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুক্রবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২২
‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুক্রবার

খুলনা: খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আগামী শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায় ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হবে।  

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজক।

ফাউন্ডেশনের নগর শাখার সভাপতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপ-পরিচালক গাজী আলাউদ্দিন আহমদ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন।  

প্রকাশক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন।  

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি।

গ্রন্থে তিন পর্বে ৫২টি প্রতিবেদন, নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকার বা অভিমত প্রকাশিত হয়েছে।  

উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগুলো হচ্ছে: সম্ভাবনার নতুন অধ্যায়ে বাংলাদেশ, খুলে গেল দখিনের দুয়ার, বাঙালির অহঙ্কার পদ্মা সেতু: শুরু থেকে শেষ, পদ্মার আলোয় আলোকিত মাওয়া থেকে জাজিরা, পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচলের গতিসীমা ৬০ কি.মি., নদীর নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণ, উদ্বোধন ২৫ জুন, ভোমরা হবে আমদানী রপ্তানির সিংহদ্বার, কলকাতা থেকে ঢাকা: কমেছে সময় ও দূরত্ব, দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি উন্নয়নের সিড়ি পদ্মা সেতু, উন্নয়নের মাইলফলক পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু ও পর্যটন সম্ভাবনা: আমাদের সক্ষমতা, এবার স্বপ্ন পৌঁছে যাবে বাড়ি, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব, আমাদের অহংকার, যোগাযোগে পরিবর্তনের পাশাপাশি নিরসন হবে আঞ্চলিক বৈষম্য, রূপসা থেকে পদ্মা, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আধুনিক বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক, পদ্মা সেতু ও দক্ষিণাঞ্চলের নারীজীবন, বঙ্গমাতা, রুবাইয়াতে পদ্মা সেতু ইত্যাদি।  

গ্রন্থটিতে যাদের প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার বা অভিমত প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন: উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম মূর্শেদী ও মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, খুবি’র সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, কুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন, খুলনা কৃষি বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. বজলার রহমান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, খুবি প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. নাসিফ আহসান, প্রফেসর ড. তুহিন রায় ও মামুন অর রশিদ, ড. খ. ম. রেজাউল করিম, অধ্যাপক জাফর ইমাম, অধ্যাপক ড. বামুদেব চন্দ্র ঘোষ, উপসচিব ও কনসালটেন্ট এটুআই জিয়াউর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা চেম্বার সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান, শেখ দিদারুল আলম, সানোয়ার পারভেজ ও মোহাম্মদ মিলন, খুলনা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, শিক্ষাবিদ গাজী আবদুল্লাহহেল বাকী, মিনু মমতাজ, এম এ মান্নান বাবলু, আসিফ আলতাফ প্রমুখ।

‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের সম্পাদক গাজী আলাউদ্দিন আহমদ ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোরব ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। খুলনার একজন গণমাধ্যমসেবী হিসেবে তাঁর রয়েছে প্রায় তিন দশকের অভিজ্ঞতা। এ দীর্ঘ সময়ে তিনি কাজ করেছেন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে। তাঁর একমাত্র বড় ভাই প্রফেসর জালাল উদ্দিন আহমদ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুখ্যাতির সঙ্গে চাকুরি জীবন শেষে অবসর যাপন করছেন।

বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও খুবির প্রাক্তন ট্রেজারার মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান।  

সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্র্রন্থটির প্রকাশনার উদ্যোগ গ্রহণ করে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী ও বিশিষ্ট গণমাধ্যমসেবী গাজী আলাউদ্দিন আহমদ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।  

এতে পদ্মা সেতু নির্মাণের পটভূমি, ইতিহাস, পরিকল্পনা, পরিসংখ্যান, প্রযুক্তিগত বিষয়সমূহ ছাড়াও দেশের অবহেলিত দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এর প্রভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ সচিত্র প্রতিবেদন থাকছে যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অনুসন্ধানী গবেষক ও সাধারণ পাঠকদের তথ্যপ্রাপ্তির উৎস্য হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯ , ২০২২
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।