নীলফামারী: এক মাসের ছুটি নিয়ে এক বছর ধরে লাপাত্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা।
দীর্ঘ দিন প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ অন্যান্য সহকর্মী ও শিক্ষা কর্মকর্তা কারও সঙ্গেই যোগাযোগ নেই তার।
এমনই ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রহমতউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই শিক্ষিকার নাম মোছা. আশরাফী। তিনি উপজেলার পুরাতন বাবুপাড়া দারুল উলুম মাদরাসা মোড় এলাকার মাহমুদ আলমের স্ত্রী। আশরাফী ও তার পরিবার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে লাপাত্তা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাফিজা খাতুন বলেন, আমেরিকায় অবস্থানকারী অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন আশরাফী। তাতে আমি নিজে সুপারিশ করে শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাই। পরে তিনি ডিজি'র অনুমতি সাপেক্ষে বিদেশে চলে যান। তবে যাওয়ার সময় ছুটি মঞ্জুরের কোনো কাগজ বা প্রমাণপত্র বিদ্যালয়ে বা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেননি। কিন্তু এক মাসের ছুটি শেষ হলেও তিনি কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। টিও স্যারের নির্দেশে ১২ অক্টোবর ২০২১ এর পর থেকে হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে আসছি। আশরাফীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী মণ্ডল বলেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। আমার আর কিছুই করার নেই।
আপনার লিখিত ফরওয়ার্ডিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা অধিদফতর বা মন্ত্রণালয় কি ফিডব্যাক দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আর কোনো যোগাযোগ করিনি। সর্বশেষ কি অবস্থা, সে সম্পর্কে কিছুই জানা নেই।
আশরাফীর পরিবারের কাছ থেকেও কোনো তথ্য জানার চেষ্টা করেননি এ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশরাফীর এক সহকর্মী বলেন, ওই শিক্ষিকা না থাকায় তার ক্লাসগুলো দীর্ঘ এক বছর ধরে অন্য শিক্ষিকারা সমন্বয় করে নিচ্ছেন। এতে আমাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে। আশরাফী কারও সঙ্গেই যোগাযোগ রাখেননি। এমনকি ফেসবুক একাউন্টটাও লক করে রেখেছেন।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ওই শিক্ষিকার ছুটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার জানা থাকলে এতদিনে বিভাগীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নিতাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এসআই